আগামী বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এজেন্সি মালিকরা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ হজ এজেন্সির মালিকদের ব্যানারে এজেন্সি মালিকরা এ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তথা হাবের বাতিল হওয়া কমিটি মূলত এ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে।
প্যাকেজ ঘোষণা করেন হাবের সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ সরদার। এতে খাবার খরচ যুক্ত করে সাধারণ হজ প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয় ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ধরা হয় ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
হাবের সাবেক মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা করা বেসরকারি হজ প্যাকেজ প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে লাইসেন্স নিয়ে আমরা কাজ করি। সরকারের প্যাকেজ গ্রহণ করে এজেন্সি মালিকদের পক্ষ থেকে আরেকটি প্যাকেজ নীতিগত ও আইনগতভাবে দেয়ার সুযোগ আছে। সেটিই আমরা উপস্থাপন করেছি।
‘আমরা খাবার খরচ যুক্ত করে আমাদের প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। খাবার খরচ ছাড়া পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ হয় না।’
আগামী বছর হজের জন্য সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
ফারুক আহমেদ সরদার বলেন, ‘হাবের পক্ষ থেকে বারবার বিমান ভাড়ার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য আবেদন করা হয়। আমরা প্রত্যাশা করছি ধর্ম উপদেষ্টা হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। বিমান ভাড়া কমানো হলে হজ প্যাকেজের মূল্যও কমানো হবে।
‘তা ছাড়া হজ সংক্রান্ত সব সভায় হাব বিমান ভাড়া কমানোর দাবি জোরালোভাবে উত্থাপন করে। হাবের জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও যৌক্তিক কারণে ২০২৫ সালের হজে বিমান ভাড়া এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা নির্ধারণ হলেও আমরা এটি যৌক্তিক মনে করি না।’
এ বছর শতভাগ হজযাত্রীর (সিলেট ও চট্টগ্রাম বাদে) সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে হাবের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের আওতায় হজযাত্রীদের কল্যাণে প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই সম্পন্ন করার জন্য ডেডিকেটেড (শুধু হজযাত্রী পরিবহন) হজ ফ্লাইট হওয়া বাধ্যতামূলক। হজযাত্রী পরিবহনে ডেডিকেটেড ফেরি ফ্লাইটের হিসাব করেই সর্বোচ্চ মূল্যে বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, কিন্তু বিগত বছরগুলোতে ডেডিকেটেড ফেরি ফ্লাইটের ভাড়া নিলেও এয়ারলাইন্সগুলো শিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রী পরিবহন করেছে।’
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও (২০২৫ সাল) বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে ১০ হাজার সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি হজযাত্রীরা যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে।